Posts

Showing posts from July, 2020

স্বপ্ন

Image
সবাই আমার দিকে তাকিয়ে হাসছিল বটে । কিন্তু আমার সেসব খেয়ালই ছিল না । চোখ দুটো বুজে হাপুস হুপুস করে আঙুলের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়া চটচটে মিষ্টি আমের রস জিভ দিয়ে টেনে নিচ্ছিলাম এক্কেবারে মুখের ভিতর । কী স্বাদ । এমন আম আমি কোনদিন খাইনি । খাওয়ার সুযোগই হয়নি । বাবা তো সপ্তাহে একদিন বাড়ি ফেরে । তাই প্রতিবার গরমে মায়ের কাছেই বায়না করেছি আম খাওয়ার জন্য । মা বলে, গরম কমলে আনবে । এ সময় নাকি বাজার খুব চড়া , আমের খুব দাম , কেজি প্রতি ৭০-৮০টাকা কখনো তারও বেশি । মনখারাপ হয় । স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ওই পাকা বাড়ির হরেন দাদুর বাগানের পাশ দিয়ে গেলে মিষ্টি আমের গন্ধে মন ভরপুর হয়ে যায় । রতন , বিট্টু, পলা কতবার বলেছে, 'চল্ পিন্টু , রাতের বেলা ঢিল মেরে গোটা দশেক টুসটুসে আম পেড়ে নি । ' কিন্তু আমার মন সায় দেয় না । হরেন দাদু যদি নিজে থেকে আমাদের ফল পেড়ে দিত সেকথা আলাদা । খেতে ইচ্ছে করলেও, কখনো চুরি করব না । কি করে জানি না আমার এই মনের কথাগুলো পড়ে ফেলেছিলেন জয়স্যার । মানে আমাদের প্রাইমারি স্কুলের একমাত্র শিক্ষক জয় সমাদ্দার । এখন বলে নয় জয়স্যার শুধু আমারই নয়, আমাদের ক্লাসের আটজনকেই খুব ভালোবা

বার্থডে গিফ্ট

Image
আজ থেকে ঠিক আঠারো বছর আগেই তো বিতান পৃথিবীতে এসেছিল।সাজানো বেলুনের ঘর, টেবিলের উপর ভ্যানিলা কেক আর রুম ফ্রেশনারের গন্ধটা হঠাৎ করেই মন কেমন করায়। কিন্তু আজ তো খুশির দিন... 'তাড়াতাড়ি কেকটা কাটো?'  চমকে পেছন ফিরতেই দেখে একগাল হাসি মুখে দাঁড়িয়ে সুহৃৎ। 'এতকিছু তুমি একা করেছ?' 'কেন আর কেউ করলে ভাললাগত বুঝি? নাও।'  বলে সুহৃৎ গোলাপি প্লাস্টিকের ছুরিটা হাতে ধরিয়ে দেয় ওর। বিতান তিন ফু'য়ে নিভিয়ে দেয় আঁকাবাঁকা মোমবাতির শিখাগুলো।  'হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ...।'  গানের লাইনটা আওড়াতে আওড়াতে হাততালি দিতে দিতে সুহৃৎ ওর কাছে আসে। 'তোমার জন্যে একটা দারুণ সারপ্রাইজ আছে।' অবাক চোখে সুহৃৎ-এর  মুখের দিকে তাকাতেই দেখে ওর পাশপাশি দাঁড়িয়ে...  বাবা! মা...! কত বছর আগে যে বিতান ওদের শেষ দেখেছিল মনে নেই।  ২০৫০সালের এটাই তো রীতি।  বাবা, মা নিজেদের ব্যস্ততায় আলাদা করে দেয় সন্তানকে। সঙ্গে থাকে শুধু সুহৃৎ-এর মত একটা  করে যন্ত্র।  কিন্তু যন্ত্র হয়েও ও কী করে বুঝল বিতানের মনের কথাটা? কোথায় যেন প