বার্থডে গিফ্ট
আজ থেকে ঠিক আঠারো বছর আগেই তো বিতান পৃথিবীতে এসেছিল।সাজানো বেলুনের ঘর,
টেবিলের উপর ভ্যানিলা কেক আর রুম ফ্রেশনারের গন্ধটা হঠাৎ করেই মন কেমন করায়। কিন্তু আজ তো খুশির দিন...
'তাড়াতাড়ি কেকটা কাটো?' চমকে পেছন ফিরতেই দেখে একগাল হাসি মুখে দাঁড়িয়ে সুহৃৎ।
'এতকিছু তুমি একা করেছ?'
'কেন আর কেউ করলে ভাললাগত বুঝি? নাও।' বলে সুহৃৎ গোলাপি প্লাস্টিকের ছুরিটা হাতে ধরিয়ে দেয় ওর।
বিতান তিন ফু'য়ে নিভিয়ে দেয় আঁকাবাঁকা মোমবাতির শিখাগুলো।
'হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ...।' গানের লাইনটা আওড়াতে আওড়াতে হাততালি দিতে দিতে সুহৃৎ ওর কাছে আসে।
'তোমার জন্যে একটা দারুণ সারপ্রাইজ আছে।' অবাক চোখে সুহৃৎ-এর মুখের দিকে তাকাতেই দেখে ওর পাশপাশি দাঁড়িয়ে...
বাবা! মা...!
কত বছর আগে যে বিতান ওদের শেষ দেখেছিল মনে নেই।
২০৫০সালের এটাই তো রীতি।
বাবা, মা নিজেদের ব্যস্ততায় আলাদা করে দেয় সন্তানকে। সঙ্গে থাকে শুধু সুহৃৎ-এর মত একটা করে যন্ত্র।
কিন্তু যন্ত্র হয়েও ও কী করে বুঝল বিতানের মনের কথাটা?
কোথায় যেন পড়েছিল 'সুহৃৎ'শব্দের মানে বন্ধু।
বিতান ওর কাছে এসে ধাতব হাতদুটো ধরে।
চোখের কোনটা অজান্তেই ছলছল করে ওঠে।
(সমাপ্ত)
Comments
Post a Comment