Posts

Showing posts from June, 2020

টুনু

Image
এই নিয়ে তিন - তিনবা র ঘটেছে ঘটনাটা । প্রথম প্রথম হালকাভাবেই নিয়েছিল অবিনাশ । কিন্তু যতটা সহজ বলে মনে করেছিল ব্যাপারটা ততটাও সহজ বলে মনে হচ্ছে না । একটা নয় পরপর তিনটে ইংরেজি লেটার কিভাবে লেখা হল? ল্যাপিতে লেখার অভ্যাসটা বেশ কয়েকবছর হল রপ্ত করেছে ও । টুকটাক কাজের জন্য লেখা ছেড়ে উঠে গেলেও শেষ কি লিখেছে সেটা অন্ততঃ মাথায় থাকে । অথচ বাংলা শব্দের পর ইংরেজি শব্দ ? কিকরে? একবার মনে হয়েছিল লাস্ট একমাস ধরে ইংলিশ অনলাইন ক্লাশগুলো যেভাবে ফলো করছে তারই এফেক্ট নয়ত ? আসলে অবিনাশ বাংলাতে বেশ জোরালো হলেও ইংরেজিতে যাকে বলে তথৈবচ । কিন্তু বাংলা সাহিত্য লিখতে গিয়ে বুঝেছে শুধু ওই একটাকেই আঁকড়ে নিয়ে থাকলে হবে না । যেকোনো সাহিত্য নিয়ে চর্চা করতে গেলে অন্যভাষার সাহিত্যও সমান জানতে হবে । সেটাই কি কোনওভাবে মনের অবচেতনে রয়ে গেছে ? কিন্তু তাই বলে ? অনেক চিন্তা করে দেখেছে এই ভাবনাটাও বিশেষ যুত পাচ্ছে না । এই লেখার উপর সবারই কমবেশি রাগ আছে ।   সেটা জানে । বিশেষ করে স্ত্রী কমলিনী । কি অলুক্ষণে কান্ড শুরু হল । আসলে সংসার ধর্ম কি আর লেখক , শিল্পীদের মানায়? রীতি নিয়ম মেনে পা ফ্যালা । সময়ে গুচ্ছের কাজ

পুতুল খুঁজতে খুঁজতে

Image
পুতুল ওর ভারী পছন্দের । তো এতে আর এমনকি ব্যাপার ? ব্যাপার আছে । যে সে পুতুল হলে হবে না । যে পুতুল একটু মানুষ মানুষ । যার চোখ জ্যান্ত জ্যান্ত । ঠোঁট জোড়া চন্দ্রবিন্দুর মত হাসি । মাথা ভর্তি কোঁচকানো চুল । নরম নরম নিখুঁত হাত - পা । সেই পুতুল - ই ওর চাই । আর তাই নিয়েই আজ ওর মন কালো । ও এতক্ষণ তো ওর নাম - ই বলা হয়নি তোমাদের । ও হল ‘ পকো ’; সারাক্ষণ পক পক করে হাঁসের মত কথা বলত বলে দিদিমা ওর নাম রেখেছে ‘ পকো ’ । সেই পকো - ই আজ মুখ ফুলিয়ে বিছানার কোণে নিজেকে গুটিয়ে বসে রয়েছে । কেউ কাছে গেলেই দুই চোখ দিয়ে গঙ্গা - যমুনা বের করে একাকার করছে । ব্যাপার কি ? তথ্যানুসন্ধানে যেটুকু বোঝা গেল ; ‘ পকো ’ আজ রথের মেলায় পুতুল কিনতে যেতে পারছে না । ভেজা মনের কারণ অনেকটা এটাই । আরও একটু পরিষ্কার করা যাক । আজ রথ । প্রতিবছরের মত এবারও সেই সকাল থেকে নন - স্টপ বৃষ্টি হয়ে চলেছে ; ওদিকে পাড়ায় মেলা বসে গেছে । নাগরদোলা থেকে কটকটি খেলনা , বুড়ির মাথা থেকে খেলনা - বাটি