Posts

Showing posts from May, 2020

জানলার ওপারে

Image
'ঠিক পথের পাঁচালির মত!' 'আমার তো পুরো ডুয়ার্স লাগছে। কত্ত সবুজ!' 'দেখার চোখ আছে বটে। একদম যেন আমার মামাবাড়ি!' 'হেব্বি!'  আলাদা আলাদা চার-পাঁচটা কমেন্টে চোখ বোলাতে বোলাতে মনে হচ্ছিল ওদের সবার কাছে জানলার ওপারটা অন্য অন্য রকম। আবার কারোর কাছে নেহাতই স্যাঁতস্যাঁতে গেঁয়ো জায়গা বলে মনে হচ্ছে। ভার্চুয়াল দুনিয়া বলে একটা বাহ্ কিংবা তোফা জুড়ে দিয়েছে। কিন্তু ঠিক এই জানলাটার ওপারেই আমার সর্বস্ব। আমার গোটা দুনিয়াটা। এই যে মরচে ধরা গ্রীলগুলোর ওপারে প্রায় বিশ-পঞ্চাশহাত দূরে কবেকার সেই বটগাছটা ওর যাবতীয় অতীত ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। একে আমি অস্বীকার করি কী করে। খাতার কোনো এক পাতার পিঠে পেন্সিল দিয়ে দাগ কাটার পর হাজার ইরেজার ঘসলেও যেমন দেবে যাওয়ার একটা চিহ্ন থেকে যায়; অনেকটা তেমনই। আমার সুখ, দুঃখ, ভালোলাগা মন্দলাগা, বুকচেরা অব্যক্ত কথা সবকিছুই নির্দিষ্ট এই জায়গাতেই রয়ে গেছে আজ কুড়িটা বছর ধরে। আমি পঞ্চাশ পেরিয়েছি। কিন্তু সেই আমি আজও বটের সামনে দাঁড়াই তেত্রিশ বছরের যুবক হয়েই। রোদ, ঝড় জল উপচে প্রকৃতি মাখামাখি একটা আলতো আদর মিশে আছে ওখানের মাটি

"ঋভুর রুটিন"

Image
ধপাস করে দরজার সামনে পড়লো একটা মুখ হাঁ করা বাসা । পিছন থেকে জেঠিমার চিল চিৎকার কানে তালা লাগিয়ে দিল , " ও ছোটো, ডিম পড়েছে ডিম পড়েছে । বারান্দার উপরের তাকে বজ্জাত পায়রাগুলো বাসা বানিয়েছিল । ওদের যেন দেখতে দিস না । সর্বনাশ হয়ে যাবে!" আর সাথে সাথে পাশ থেকে রিমিদিদি চোখ বুজে দিল চোঁচা দৌড় । আরেকটু হলে হুমড়ি খেতো আরকি ! পায়ের দিকে তাকাতেই ঋভু দেখল প্লাস্টিক, গাছের শুকনো পাতা , খড় , কোথাকার কোন ইলেক্ট্রিকের তার রাজ্যের এলোমেলো জিনিস দিয়ে তৈরি একটা বাসা । তাতে হলদেটে সাদা গোল পুঁচকে পুঁচকে দুখানা ডিম । " ওমা!" বলে ঋভু বাঁ-কাঁধের ব্যাগটাকে হড়কে নীচে ফেলে যেই না ধরতে যাবে, অমনি " ধরিস না, ধরিস না, দেখিস না, ছুঁস না ..." গোটা পাঁচ - আট ' না' বিভিন্ন সুরে বিভিন্ন তালে ছুঁড়ে তেড়ে এল ওর মা । তা সে , যে অস্ত্র যে বেগেই আসুক না কেন । ততক্ষণে বাসা ঋভুর হাতে । " এ ছেলেটাকে নিয়ে আমি আর পারি না । বিপদ না করে ছাড়বে না দেখছি !" ঋভুর মা, জেঠিমা দুজনেই তুমুল বিলাপ করতে শুরু করে দিয়েছেন । ওর মন কিন্তু আনন্দে পিলপিল করছে । একলাফে