মুখ হাঁ করা একটা বই টেবিলের উপর রাখা । ঘুলঘুলি দিয়ে সকালের সরু হলুদ আলো র সমান্তরাল রেখা এসে পড়েছে বইয়ের পাতার উপর। ভ্যাপসা বাসটে একটা গন্ধ পাক খেতে খেতে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা ঘরটায়। ছেঁড়া ছেঁড়া আলোরা নিজের জায়গা খুঁজছে। যেন তারা গোটা ঘরটায় একটা প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে বেড়াচ্ছে । হঠাৎ একটা শব্দ ! একটানা, একঘেঁয়ে কিন্তু কান পাতলে শোনা যায় এমন ! শব্দটা এলোমেলো উড়তে উড়তে এসে বসে খোলা পাতার ঠিক মাঝখানে । ছেঁড়া ছেঁড়া শব্দগুলো জটলা বেঁধে চলেছে যেন ! একঘেঁয়ে শব্দটা জড়ো হবার সঙ্গে সঙ্গে কালো একটা কিছু চোখের সামনে স্পষ্ট হতে শুরু করে । তাহলে কি শব্দটার প্রাণ আছে ... ? জীবন্ত শব্দঘোর যান্ত্রিক ড্রিল মেশিনের মত প্রাণপণ কুড়ে চলেছে । গভীরে , আরো গভীরে ! একটু একটু করে দেবে যাচ্ছে , বসে যাচ্ছে পাতার কাগজ ! কালো প্রাণীটার শরীরের চারপাশে জমা হয়ে চলেছে পাতার ছেঁড়া টুকরোগুলো । তাহলে কি প্রাণীটা... ? আর ঠিক তখনই একটা হাত সজোরে এসে পরে জীবন্ত কালো প্রাণীটার উপর। থেঁতলে যাওয়া প্রাণীটা হাতের আঘাতে ছিটকে যায় পাতার ধারে । এক টোকায় মরা প্রাণীটাকে বই থেকে টেবিলের উপর ফেলে দিয়ে কেউ যে...
Comments
Post a Comment