"ওরা আমাদেরই চারপাশে" ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা জীবন, জীবন চরিত্র নিয়ে নানান গল্প। বন্ধুদের জন্য থাকল আজকের গল্প "ভীতু"!






'বৌমা আমি তো আর বাবা হতে পারব না?'- 'তুমি ভাবতে পারো বুড়ো ভামটা ঠিক এই কথাটাই আমাকে বলল! আমি জাস্ট ভাবতে পারছি না সৈকত!'
'বাবার কথাবার্তা চিরকালই অমন! কী বলতে কী বলে ফেলে! ও নিয়ে অত আর...!'
'তুমি থামো ভীতুর ডিম একটা। বাবা এত বড় সর্বনাশ করল আর তোমরা তিন-তিনটে ভাই মুখে কুলুপ এঁটে থাকলে! আচ্ছা তোমাদের একটুও কষ্ট হল না বলো?'
'হলেই বা কী করব প্রমা! হাত পা যে বাঁধা! সেরকম হলে আমাদের মায়ের অস্তিত্ব-ই অস্বীকার করতে হয়। বাবা তো মায়ের সঙ্গে কোনো রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করেননি! আগেকার দিনে যেমন হত পাড়া প্রতিবেশী সাক্ষ্মী শুধু! নারায়ণ মেনে বিয়েটাকেই সবাই বিয়ে মনে করত। কোর্টের বিচারে আইনত বউ এখন উনিই! বাবার পেনশন বিশেষত মেদিনীপুরের বাবার নামের জমিটায় হক বলতে ওনারও আছে; কোর্ট কাছারি হলে সব কিছুই সামনে আসে। অযথা কাদা ছোড়াছুড়ি...!'
'তাই বলে ওই ভিখিরিটার হাতে সবকিছু চলে যাবে? আমরা হাতে হাত গুঁজে বসে থাকব?'
'আহঃ প্রমা এভাবে বলছ কেন?'
'এভাবে বলব না তো কিভাবে বলব বলে তুমি আশা করছ আমাকে পরিষ্কার করে বলো তো? আচ্ছা তোমার বাবা আমাদের কথা না-হয় ভাবলেন না নিজেদের নাতি-নাতনির কথা তো ভাববেন? ওরা বড় হলে মেদিনীপুরের জায়গাটার কত দাম উঠল বলোতো?'
'দেখো মামনি চলে গেছে সেই রাণার যখন মাত্র পাঁচ বছর বয়স যদি সত্যি সত্যি বিয়ে করার ইচ্ছে থাকত তবে জোয়ান কালেই তো করতে পারত বাবা! এই বার্ধক্যে এসে করেছে যখন তখন এটাকে...! বাবাকে পুরোপুরি ফাঁসানো হয়েছে রিটায়ার লাইফের সময়টাকে কাজে লাগিয়ে!'
'আমি বাইরের লোকের দোষ দেখি না সৈকত। দোষ আমাদের ঘরেরই। ঘরের লোক বাইরের লোককে সুযোগ দিলে তবে না সে সুযোগ পায়! বাবা নিশ্চয়ই ঘরের নানান কথা রান্নার লোকের কাছে কাঁদুনি গেয়েছে। একবার আমাদের জানাল না পর্যন্ত। সোজা রেজিস্ট্রি এমনকি গয়না পর্যন্ত গড়িয়েছে নতুন বউয়ের জন্য। কত শখ! গিয়ে তো দেখলাম ঢংয়ের শেষ নেই! তোমার বৌদিও আরেক নেকি। সবসময় বাবার কাছ থেকে ভালমন্দ পাওয়ার জন্য 'বাবা' 'বাবা' করে পেছন পেছন ঘুরে বেড়াচ্ছে অথচ বাবা যখন ওঁকে জানিয়ে গয়না পছন্দ করেছে দিনের পর দিন তখন নেকি বৌদি নাকি কিছুই বোঝেনি। বাবাও নাকি বলেছিল, 'কোন গরিবের মেয়ের বিয়ের গয়না দিচ্ছে তাই এসব করাচ্ছে!' ওসব নয় আসল কথা কী জানো, ভেবেছিল ওকেই দেবে, তাই চুপচাপ চেপে ছিল! মুখে 'রা' কাটেনি।'
'ছাড়ো বাবার জিনিস বাবা যা পারে তাই করেছে! এখন ভেবে আর কী হবে? সারাজীবন কেউ যদি আগলে রাখত বাবাকে। তাহলে হয়ত আমাদের এই দিনটা দেখতে হত না। মা-ও চলে গেল। পিসীমাও নেই!
এই দেখো যেমন তোমাকে আমি, আমাকে তুমি আগলে রেখেছ...!' সৈকত খাবার টেবিলের দিকে এগিয়ে গিয়ে পেছনদিক থেকে প্রমার ছিপছিপে কোমর জড়িয়ে ধরে।
'ছাড়ো, দেখো কয়েকমাস পরেই তোমার ভাই-বোন হওয়ার সুসংবাদ পাবে। আর কত কিছু যে দেখতে হবে!' সৈকত পিছিয়ে এসে গোমড়া মুখ করে সোফায় বসে পড়ে।
সত্যি, বাবা একটা শিক্ষিত মানুষ হয়ে কিভাবে যে এই কান্ডটা বাধিয়ে বসলেন বুঝে উঠতে পারছে না সৈকত ওর দাদা ভাই কেউই। রিটায়ারের আগের শেষ কয়েকটা বছর সৈকতের বাবা শ্রী অনিল মজুমদার বিডিও অফিসার হিসেবে পোস্টিং ছিলেন মেদিনীপুরের গড়বেতায়। একটু একটু করে ওখানে প্রায় দশ কাঠা মত জমি কিনে দোতলাও করেছেন। সামনেটা কিছু ঘরোয়া গাছ আর আলুটা মূলোটা। সবাই 'বড় স্যার' 'বড় স্যার' বলে শ্রদ্ধা-ভক্তিও করে! সেখানে একটা সামান্য রান্নার বউ এইভাবে সুযোগ নিল? সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোল?
আসলে বাবা বরাবরই বাইরের লোককে বড্ড আপন ভেবেছে। সাংসারিক খুঁটিনাটি নিশ্চয়ই কোনও না কোনওভাবে জানিয়েছিল বউটিকে। যা হয় বয়স হলে ছেলে বৌমার প্রতি থরে থরে অভিযোগ জমা হয়। সেও তেমনি, বাবার অবসাদের সুযোগ নিয়ে সবটা হাতাচ্ছে। খারাপ লাগে বটে; কিন্তু একদিক থেকে ভাবতে গেলে ওরা তিনভাই কেউই ওদিকটায় থাকতে যেত না। হ্যাঁ বাবার অবর্তমানে বিক্রি বাটার প্রশ্ন আসতে পারে! মনে মনে হাসে সৈকত! জমিজমা সম্পত্তি হল অভিশাপ। থাকলেই মতান্তর! এইতো এই ভবানীপুরের বাড়ি নিয়েই বা কী কমটা হচ্ছে! দিনরাত দাদা, আর বেকার ভাইটার সঙ্গে লেগে আছে। কে কোন ভাগে বেশীটা গুছিয়ে নেবে হিসেব শুধু সেখানেই!
যাক মরুক এবার সবাই...!
শুধু মায়ের কথাটা ভেবে একটু চিনচিন করে বুকের ভেতরটা। কতদিনই বা মা-কে পেয়েছে ওরা! স্মৃতিগুলো আবছা হয়ে আসে। মনে হয়, 'মা' নামের একটা ধোঁয়া ছেলেবেলাটা জাপটে আছে। মুখটা মনে পড়ে সেই ধোঁয়াশা ধরা স্মৃতির কাঠামোয়। সৈকত ছোট থেকেই চুপচাপ, সাবধানী। তাই ভাই দাদার ভাগের দুস্টুমিগুলোতে কোনদিনই সায় দেয়নি। বরং মা যখন ভাই দাদার পিঠে কখনও বেলনের বাড়ি কখনও পাখার বাটের বাড়ি কষিয়ে ঘা দিত তখন মনে মনে মজাই পেত! ঠাকুর ডেকে প্রণামও করত নিজে বেঁচে যেত বলে।
আজ মা যদি থাকত এটা নিশ্চয়ই হত না...! তাই বা বলে কীকরে? কিছু কিছু মনে পড়ে। রাতের বেলা ওরা ভাইয়েরা ঘুমিয়ে পড়লে বাবা যখন মা-কে নিজের দিকে টানত। বেশিরভাগ সময়ই দেখেছে মা সাংঘাতিক বিরক্ত হত! বাবাকে ঠেলে সরিয়ে পাশ ফিরে শুয়ে পড়ত! মা কী বাবাকে পছন্দ করত না? বাবার শারীরিক চাহিদায় কোনদিনই মাকে তেমন করে সাড়া দিতে দেখেনি। সন্তান হওয়াটা তো নেহাৎ সাংসারিক দায়! ভালোবাসাটা থেকে যে অধিকারবোধ জন্মায় তাতে এতটা অনীহাবোধ থাকে না; কয়েকটা পুরোনো ছবি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। শেষের দিকে মায়ের ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। ব্লিডিং যন্ত্রনায় আছাড়ি পিছাড়ি খেত একটা মানুষ! কিন্তু সৈকত ওর মায়ের কাছাকাছি থাকত বলে সবটা জানতে পেরেছিল; বারবার ওর মা ওকে বারণ করত। ও যেন বাবাকে কিচ্ছুটি না বলে! ছোট হলেও সৈকত বুঝতে পারত কোনও কারণে মা একপ্রকার বাঁচতে চাইছিল না...! সমস্ত ক্ষোভটাই কী বাবার ওপরে ছিল?
'কী গো তুমি তো একেবারে কবি সুকান্ত হয়ে গেলে? ওঠো ওঠো সোফার কভারটা চেঞ্জ করে আমি একটু বেরোব।' সৈকতকে ঠেলা দেয় প্রমা!
'আজ আবার কোথায় যাবে?' সৈকত সোফা থেকে উঠতে উঠতে বলে।
'মানে? তুমি কী আমাকে সন্দেহ করছ?'
'যাহ বাবা সন্দেহ কোথায় করলাম! কোথায় যাবে তাই জিজ্ঞাসা করলাম শুধু! খামোকা রাগ করছ কেন?'
'রাগ করছি তোমার কথার জন্য সৈকত! আমি বেরোতে গেলেই তোমার এমন প্রশ্ন শুনলে আপসেই ঝাঁট জ্বলে যায়! কোনোদিন এমন হয়েছে যে আমি তোমার সংসারের কাজ না করে কোথাও গেছি? তাছাড়া সারা সপ্তাহের পর এই শনি রবিবারটাই তো আমার ছুটি!'
'আমি কী তাই বলেছি?'
'তবে? তবে কী বলতে চাইছ?'
উফঃ প্রমা সামান্য কথাতেই মাঝে মাঝে এত টেমটেড হয়ে থাকে বলার নয়! এই একটা কথাতেই কেমন নাকের ধারগুলো লালচে হয়ে ওঠানামা করছে। সৈকত জানে এই সময়টায় প্রমার কাছে গেলে গা থেকে একটা গনগনে তাপের গন্ধ বেরোয়। সৈকত সেই তাপে পুড়ে যায়; মরে যায়; তাইতো ওর ভয় হয়! প্রমাকে আগলে রাখতে চায় বুকের কাছে! দু'হাতে চেপে! প্রমাও যথেষ্ট করে ওর সংসারের জন্য! কিন্তু তাও মাঝে মাঝে মনে হয় সৈকত যেন প্রমার মনের আগুন, শরীরের আগুন শান্ত করতে পারছে না। বিছানা তোলপাড় করেও কখনও মনে হয় প্রমা হয়ত আরও চায়, আরও আরও গভীরে গেলে তবে ওর গনগনে আঁচ নেভাতে পারবে সৈকত! সৈকত কোনদিনই পারে না; কোনদিনই প্রমার সেই অতল গভীরে প্রবেশ করাতে পারে না নিজের পৌরুষকে। খুব বেশি মিনিট দশেক তারপরেই সমস্তটা গুটিয়ে আসে। কিন্তু বহুবার লক্ষ করেছে সবকিছু থেমে যাবার পরও ঠিক একইভাবে শুরুর মত প্রমার বুকের ভাঁজ থেকে সারা শরীরে তখনও লেপ্টে রয়েছে এক অযাচিত আগুন। সৈকত নিজেকে সরিয়ে আনলেও প্রাণপণ সাবধানতায় ঢেকে রাখতে চায় এই আগুনকে। যেন কারুর চোখে না পড়ে!
'বাবারে বাবা আসছি ... আসছি... দেখোতো কে এল? বেল বাজিয়েই চলেছে...! একটু বেরোবো তাও শান্তি নেই!'
'দাঁড়াও দেখছি!' সৈকত সদর দরজা খুলতে এগোল।
'আরে পার্থ? এতদিন পর? কী ব্যাপার? সূর্য উঠেছে তো নাকি পথ ভুলে?'
'সব কথা এখানেই সেরে ফেলবি নাকি ঘরে ঢুকতে বলবি!'
'আয় আয় কতদিন পর...!' সৈকত পার্থকে একরকম হাত ধরেই টেনে নিয়ে আসে ঘরে!
'প্রমা দেখো কে এসেছে! কই গেলে কোথায়?'
'যাচ্ছি যাচ্ছি!' ভেতরের ঘর থেকে সাড়া দেয় প্রমা।
সৈকত দেখে প্রমা সোফার কভারটা চেঞ্জ করে দিয়েছে এর মধ্যেই। টানটান নতুন কভারে বন্ধুকে বসিয়ে গল্প জোড়ে। ওদের বন্ধুত্ব সেই ছোটবেলাকার। নার্সারি স্কুলে পড়াকালীন। দুজনের চাকরি, বিবাহিত জীবন প্রায় একই সময় শুরু। দুটো পাড়া পরেই পার্থর বাড়ি। সংসার, অফিস সামলে দেখা হয়ে ওঠে না বটে; তবে দুজনের ছেলেবেলার মন এখনও তেমনিই টাটকা।
'কী রে? কোনও ভাল খবর-টবর আছে নাকি? নাহলে রোজ বাইক নিয়ে যাতায়াত করিস একবার তো মনেও পড়ে না...!' সৈকত নতুন সিগারেট পার্থর হাতে তুলে দিতে দিতে বলে।
'তা তুইই বা সুন্দরী বউকে নিয়ে কতদিন গেছিস আমার বাড়িতে?'
'আমার না-হয় প্রাইভেট অফিস; কাজ করতে করতে জিভ বেরিয়ে যাচ্ছে! তুমি তো ফুল বাবু সেজে বারোটা ছ'টা কাজ করছ বুঝবে কী করে আমার পেছন দিয়ে শালা লাল সুতো বেরিয়ে যাচ্ছে!'
'বালের কথা রাখ! শোন দীপুদা তমালকে ফোন করেছিল। যা শুনেছি সত্যি ঠিক? মানে কাকু...!'
'দাদা তমালকে ফোন করেছিল?'
'হ্যাঁ তোদের মেদিনীপুরের ভাগ বুঝে নেওয়ার জন্য তমাল-ই চেনাজানা লইয়ার!'
'তাহলে তো সবই জেনে গেছিস পার্থ! আর নতুন করে কী বলব? বাবা পঁয়ষট্টি বছর বয়সে আবার বিয়ে করেছে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্রাহ্মণ বিধবাকে। আমাদের না জানিয়ে; রেজিস্ট্রি পর্যন্ত করে ফেলেছে। শুনছি ওখানকার বাড়িটাও...!'
'স্ট্রেঞ্জ!'
'হ্যাঁ পার্থদা আমরাও ঠিক তোমারই মত অবাক হয়েছি। কী করব বলো? বাবা একেবারে পথে বসিয়ে দিলেন আমাদের...!'
সৈকত দেখে আগুনরঙা একটা শাড়ি পরে শরবতের গ্লাস হাতে প্রমা ওদের দুজনের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মাখনের মত শরীরটার ভেতর থেকে যেন ছটফট করে বেরিয়ে আসছে আগুনের লকলকে হলকা। সৈকত পুড়ে যাচ্ছে; জ্বলে যাচ্ছে! প্রমা ঝুঁকে পড়ে শরবতের গ্লাসটা পার্থর হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে। ঝুঁকে পড়া বুকের মাঝখান থেকে জেগে আছে দুটো অর্ধ-উন্মুক্ত আগুন বল। সৈকত অসহায়ের মত প্রমার দিকে তাকিয়ে আছে। প্রমা কী বুঝতে পারছে না পার্থর চোখটা আটকে রয়েছে প্রমার মাখনের মত নগ্ন অংশগুলোয়। শরবত নয় পার্থ হয়ত ওটুকুই চেটেপুটে খাচ্ছে মনে মনে!
কেন এমন হচ্ছে? সৈকত চাইছে সোফা ছেড়ে উঠে এক ধাক্কায় প্রমাকে এ ঘর থেকে সরিয়ে দিতে? কেন এমন করছে প্রমা? আহঃ কী যন্ত্রণা! সৈকত কথা বলতে পারছে না কেন? প্রমার শরীরটা থেকে সেই অদ্ভূত গনগনে ভাপ বেরোচ্ছে। সৈকতের ভীষণ ভয় করছে...! গলা শুকিয়ে আসছে...!
তাহলে কী এটাই সত্যি? সৈকত কী দিনের পর দিন বৃথা চেষ্টা করেছে; প্রমার আগুন নেভাতে পারেনি ও; ভালোবাসার আব্রু কী সত্যি সত্যি সরে গেল; ঠিক যেমনভাবে মা-ও কোনোদিন বাবাকে...!
সৈকত উঠে দাঁড়াবার চেষ্টা করে কিন্তু পারে না পায়ে পায়ে জড়িয়ে আসে; মনে হতে থাকে পায়ের নীচের শক্ত মাটিটা দু'ফাঁক হয়ে যাচ্ছে!
'ভীতু একটা...!'
সৈকত দেখে হালকা হেসে ঠোঁট মুচড়ে প্রমা ওর দিকে তাকিয়ে বলছে...!
(সমাপ্ত)
(গল্পটি প্রকাশিত হয়েছে ২০২০সালের মহিষাদল বইমেলা স্মরণিকা'য়)

Comments

Popular posts from this blog

‘জায়গাটার নাম ম্যাজিক’

"মৃত্যুর ডাক"

বসন্ত আসেছিল তাদেরও মনে । গল্পের নাম - "রাজা,রানী ও সিপাহী"